এন্টিম্যাটার(Antimatter) বা প্রতিপদার্থ হলো সেই বস্তু যা কোন পদার্থের সংস্পর্শে এলে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যায় এবং বিপুল পরিমান শক্তি উৎপন্ন হয়। যে কোন পদার্থই আবার অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মূল কণিকা দিয়ে তৈরি। সেই হিসেবে এন্টিম্যাটারও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা তৈরি। কাজেই যে কোন মুল কণিকার একটি বিপরীত মূল কণিকা আছে। এই মূলকণিকাগুলো তাদের প্রতিপদার্থের একই রকম মূলকণিকার সংস্পর্শে এলে উভয়েই নিশ্চিন্হ হয়ে যায় এবং বিপুল পরিমান শক্তি উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ আপনি যদি আপনার দেহের সমপরিমান কোন এন্টিম্যাটারের সংস্পর্শে আসেন তাহলে উভয়েই বিলুপ্ত হয়ে যাবেন তবে বিলুপ্ত হয়ে যাবার সময় উত্তরাধিকারীদের জন্য প্রচুর পরিমান শক্তি রেখে যেতে পারবেন।
Author Archives: bengalensis
এন্টিম্যাটারের খোঁজে
Filed under জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান
২০১০: বিজ্ঞানের বছর
২০১০। এ বছরটিকে অনায়াসে বিজ্ঞানের অগ্রগতির বছর বলা যেতে পারে। কারন ২০১০ এর পুরো বছরটাই ছিলো বিজ্ঞানের জগতে ঘটনাবহুল। এ বছর ইতিহাসে স্থান করে নেওয়ার মত বেশ কিছু আবিষ্কার যেমন হয়েছে তেমনি নতুন নতুন প্রশ্ন ও চ্যালেন্জের মুখোমুখিও দাঁড় করিয়ে দিয়েছে আমাদেরকে। আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরাও এ বছর প্রচুর অবদান রেখেছেন। বিগত বছরের এমনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও তাক লাগানো আবিষ্কার ও ঘটনা নিয়ে আজকের আয়োজন।
১. কৃত্রিম প্রাণ আবিষ্কার: কৃত্রিম প্রাণ আবিষ্কারের ঘটনাটি একাই হুলস্থূল ফেলে দেবার জন্য যথেষ্ট। মে মাসে বিজ্ঞানী ক্রেইগ ভেন্টর ও তার সহকর্মীরা প্রথমবারের মত নিজে নিজে বংশবৃদ্ধির করতে পারে এমন ক্ষমতা সম্পন্ন কোষ তৈরি করে সাড়া ফেলে দেন। তাঁরা ল্যাবরেটরীতে কৃত্রিমভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যক্টেরিয়া ডি.এন.এ তৈরি করে সেটি অন্য একটি ব্যক্টেরিয়ার কোষ দেহে প্রবেশ করিয়ে দেন এবং লক্ষ্য করেন ব্যক্টেরিয়াটি সংখ্যায় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তাঁদের উদ্ভাবিত ডি.এন.এ টি এক প্রজন্ম থেকে বংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে অন্য প্রজন্মে গমন করছে।
Filed under সাম্প্রতিক
গ্রীন হাউস ইফেক্ট: অজানা তথ্য
গ্রীনহাউজ ইফেক্ট সম্বন্ধে আমরা সবাই মোটামুটি জানি। এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইড এর উপস্থিতি এর জন্য দায়ী সেটাও আমরা সবাই জানি। তবে যে বিষয়গুলো সবাই জানে না সেগুলো অবগত করাই আজকের লেখাটির উদ্দেশ্য।
কার্বন-ডাইঅক্সাইড ছাড়াও গ্রীনহাউস ইফেক্টের জন্য দায়ী বেশ কিছু গ্যাস রয়েছে। এগুলো হচ্ছে মিথেন(১৯%), ক্লোরো-ফ্লোরো-কার্বন(১৭%), ওজোন(৮%), নাইট্রাস অক্সাইড(৪%), জলীয় বাস্প(২%)। বন্ধনীর ভিতরে লেখা সংখ্যাগুলো দ্বারা গ্রীনহাউজ ইফেক্টের জন্য কোন গ্যাস কতটা দায়ী সেটা দেখানো হলো। কার্বন-ডাইঅক্সাইড একা ৫০% দায়ী। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে গ্রীনহাউজ ইফক্টের জন্য কার্বন-ডাইঅক্সাইড একা দায়ী নয়। এর পাশাপাশি আরো কিছু গ্যাসের দায়িত্ব আছে। বিস্তারিত পড়ুন
Filed under পরিবেশ ও প্রকৃতি
লার্জ হেড্রন কোলাইডার: একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই বিজ্ঞান জগতে বড় চমক
পৃথিবীর বুকে ক্ষুদ্র বিগব্যাঙ ঘটানোর সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ পরীক্ষার ফলে সৌর কেন্দ্রের চাইতেও দশ লক্ষ গুণ বেশি তাপমাত্রা তৈরি হয় । এ পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা আয়নিত সীসা (লেড) কণার বিপরীতমুখী স্রোতের মধ্যে তীব্র গতিতে সংঘর্ষ ঘটান। এর ফলে প্রায় দশ লক্ষ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা সৃষ্টি হয়। তৈরি হয় কোয়ার্ক আর গ্লুয়নের প্লাজমা অবস্থা। এই অবস্থায় তারা পারস্পারিক আকর্ষণ থেকে মুক্ত থাকে। এই প্লাজমা অবস্থাকে পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন তাঁরা সবল বল নিয়ে আরো জানতে পারবেন। কৃত্রিম বিগ ব্যাঙ থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টির ইতিহাস এবং মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর এর তাৎক্ষণিক অবস্থা সম্বন্ধে ধারনা লাভ করবেন। এই গবেষণা চালানো হয় লার্জ হেড্রন কোলাইডারে।
Filed under পদার্থবিজ্ঞান
কাঠকয়লা: মানবজাতির ত্রাণকর্তা হতে যাচ্ছে কি?
“কয়লা ধুলে ময়লা যায় না” বলে একটা কথা প্রচলিত আছে। স্পষ্টতই কয়লাকে চরম অবজ্ঞা করে ময়লার সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হল এই যে পানির তো কয়লাকে ধোয়ার কোন যোগ্যতা নেইই বরং কয়লা যে পানি দিয়ে ধোয়া হয় সেই পানিটাই পরিস্কার হয়ে যায়!
খুব অদ্ভুত মনে হচ্ছে কি কথাটাকে? ভাবছেন পুরোপুরি উল্টো কথা বলছি? মোটেই না। কাঠকয়লা নিয়ে আজ কিছু কথা বলব। কথাগুলো বলা শেষ হলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এতদিন যা শুনেছেন সেটাই বরং উল্টো। সম্প্রতি সারা বিশ্বে কাঠকয়লা নিয়ে এমন আলোড়ন উঠছে যে কাঠকয়লাই হতে পারে মানুষের ভারে ভারাক্রান্ত পৃথিবীর জন্য পরিত্রানের হাতিয়ার। বিস্তারিত পড়ুন
Filed under রসায়ন
একি, সবখানে শুধু সেলুলোজ দেখি!
একি, সবখানে শুধু সেলুলোজ দেখি!
মনে করুন, আপনি আপনার প্রাত্যহিক জীবনের একটি দিন শুরু করতে যাচ্ছেন। আপনি সেলুলোজের তৈরি একটি খাটে ঘুমিয়ে আছেন। বিছানা, বালিশ সবই সেলুলোজের। আপনি ঘুম থেকে উঠলেন। আপনার গায়ে সেলুলোজের পোষাক। আপনি বিছানা ছেড়ে সেলুলোজের মেঝে দিয়ে হেঁটে হাতমুখ ধুয়ে আসলেন। তারপর নাস্তার টেবিলের দিকে এগিয়ে গেলেন যেটা সেলুলোজ নির্মিত। একটা চেয়ার টেনে বসলেন সেটাও সেলুলোজের। তারপর খাবার খেতে গিয়ে দেখলেন খাবারের মধ্যেও সেলুলোজ। খাবার খেয়ে দেয়ালঘড়িতে সময় দেখলেন অফিসে যাওয়ার আর কতটা সময় বাকি আছে এবং হঠাৎ থমকে গেলেন দেয়ালটা সেলুলোজ দিয়ে তৈরি বলে। আপনার অবাক হওয়ার পালা এখনো শেষ হয়নি। আপনি অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি হবেন, আলমারি থেকে ভয়ে ভয়ে কাপড় বের করে পরতে গিয়ে বুঝতে পারলেন আলমারি আর কাপড় দুটোই সোলুলোজের। আপনার মুখটা আরেকটু ফ্যাকাশে হয়ে গেল। টিসু বের করে মুখের ঘাম মুছলেন। হালকা কম্পিত বোধ করছেন। কারন টিস্যুতেও সেলুলোজ দেখেছেন। ভাবছেন আর অফিসে যাবেন না। এদিকে ড্রাইভার হর্ণ বাজাচ্ছে। আপনি ভাবলেন একটা এ্যাপ্লিকেশন লিখে ড্রাইভারের হাতে দিয়ে দেবেন। যাথরীতি এ্যাপ্লিকেশন লিখতে গিয়ে সেলুলোজের হাতে পড়লেন কারন কাগজটা যে সেলুলোজ। আপনারা যারা লেখাটি পড়ছেন তাদের নিশ্চয়ই সেই লোভী রাজার গল্পের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে যার স্পর্শে সবকিছু সোনায় পরিণত হয়ে গিয়েছিলো। বিস্তারিত পড়ুন
Filed under রসায়ন